এদিন বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী সরাসরি গুলি চালায়। রক্তে স্নাত হয় মিয়ানমারের রাজপথ। এর নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ সহ বিশ্বে শীর্ষ নেতারা। তারা এমন নৃশংসতাকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন। এরপর সোমবার সুচিকে আদালতে হাজির দেখানো হয়। তবে তাকে কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি সামরিক জান্তা। তাদের দাবি নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে। তাদের এ দাবির প্রতি কোন প্রমাণ দিতে পারেনি। ওই নির্বাচনে সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ভূমিধস জয় পায়। তার দল পার্লামেন্টের শতকরা ৮৩ ভাগেরও বেশি আসনে বিজয়ী হয়। সেই নির্বাচনকে বানচাল করে দিয়ে এখন সেনারা নতুন নির্বাচন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কবে, কিভাবে সেই নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে কোনোই সময়সীমা বা পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। কিন্তু জনতার দাবি নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ীদেরকেই ক্ষমতায় আসতে দিতে হবে। এর মধ্যে সুচিকে কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে সামরিক জান্তা চুপ থাকলেও সোমবার রাজধানী ন্যাপিডতে স্থাপিত একটি আদালতে তাকে দেখানো হয় ভিডিও লিংকের মাধ্যমে। তার বিরুদ্ধে মূলত দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। তা হলো, তিনি অবৈধ উপায়ে ওয়াকিটকি আমদানি করেছেন এবং মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুযোর্গ বিষয়ক আইন লঙ্ঘন করেছেন। এর সঙ্গে আজ আরো অভিযোগ যুক্ত হতে পারে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল হতে পারে। নতুন যেসব অভিযোগ আনা হবে, তাতে কি শাস্তি থাকবে তা পরিষ্কার জানা যাচ্ছে না। শুনানি শেষে আগামী ১৫ই মার্চ পর্যন্ত আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।